মোবাইল দিয়ে আয় করুন ২০২২

প্রশ্ন আসতে পারে, মোবাইল দিয়ে কী আসলেই টাকা ইনকাম করা যায় কিনা, এই প্রশ্নের উত্তর হলো হ্যাঁ, আপনি যদি কোনো প্রতারকের খপ্পরে না পড়েন তবে অবশ্যই আয় করতে
 
How To Earn Money With Smartphone In Bangladesh 2022
আমাদের দীর্ঘ একটা অলস সময় ব্যয় হয়ে যায় মোবাইল টিপে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে থেকে কিংবা গেইম খেলে। দিনশেষে দেখা যায় কাজের কাজ তো কিছু হলোই না, বরং মুল্যবান সময়টা নষ্ট হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে মাথায় এই আইডিয়াটাও হয়তো আসে, 'আচ্ছা, মোবাইলটা দিয়ে যদি কিছু ইনকাম করা যেতো!' তাহলে হয়তো অলস সময়টা অন্ততপক্ষে বিফলে যেতো না। 

মোবাইল দিয়ে আয় করবো কীভাবে

মোবাইল দিয়ে এই আয়ের আইডিয়াটা কমবেশি সবার মাথাতেই আসে। গুগল সার্চ ট্রেন্ড একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায়, বিশাল একটা সংখ্যার মানুষ গুগলে সার্চ করেন কীভাবে মোবাইল দিয়ে আয় করা যায়,  কীভাবে বিকাশে পেমেন্ট নেয়া যায়। অনেকে সার্চ করেন ঠিকই তবে মোবাইল দিয়ে আয় করার মতো ভালো আইডিয়া খুঁজে পায়না বললেই চলে। তবে এই খুঁজে না পাওয়ার মাঝেও লুকিয়ে আছে মোবাইল দিয়ে আয় করার হাজার হাজার আইডিয়া, যা অনেকে এখনো জানেন না।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা সম্ভব ?

অনেকের মনে এই প্রশ্নটাও আসতে পারে, মোবাইল দিয়ে কী আসলেই টাকা ইনকাম করা যায় কিনা, এই প্রশ্নের উত্তর হলো হ্যাঁ, আপনি যদি কোনো প্রতারকের খপ্পরে না পড়েন তবে অবশ্যই বিভিন্ন মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অলস সময়টা মোবাইল টিপে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করা যাবে এবং বিকাশের মাধ্যমেই পেমেন্ট নিতে পারবেন এমন সেরা কিছু আইডিয়া উপস্থাপন করা হলো আপনার জন্যে। দেখে নিন, কোন আইডিয়াটি আপনার কাজে আসে।

মোবাইল দিয়ে আয় করুন ব্লগ লিখে

একজন মানুষ সবসময় সবকিছু জানেন না। তবে এমন অনেক কিছু জানা থাকে যা অন্যেরা জানে না। আমরা অন্যেরটা দেখে শিখি, আর আমাদেরটা দেখে শিখে অন্যরা। ঠিক এই ব্যপারটি কাজে লাগিয়ে আপনি লিখতে পারেন একটি ব্লগ। আপনার জানা বিষয়টি যা অন্যেরা জানেনা,  তা নিয়ে লিখে ফেলুন একটি চমৎকার ব্লগ। আর এই ব্লগটিই হতে পারে আপনার আয়ের একটি উৎস।
আপনি নিজের একটি ওয়েবসাইট খুলে ব্লগ লিখে এডসেন্স থেকে আয় করতে পারবেন। আর যদি নিজের ওয়েবসাইট না থাকে তবে আপনি জনপ্রিয় ব্লগসাইটগুলোতে লিখে ইনকাম করতে পারবেন।
আমাদের দেশে এমন অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা আপনাকে লেখার বিনিময়ে একটা নির্দিষ্ট এমাউন্ট পে করবে। আর সেটা আপনি বিকাশের মাধ্যমেই নিয়ে নিতে পারবেন।
ব্লগ লিখে বিকাশে পেমেন্ট নেয়া যায় এমন কিছু জনপ্রিয় সাইট হলো, রকমারি ডটকম, জেআইটি ডটকম, খলিফা ব্লগ ডটকম, লার্নবিডি ডটকম ইত্যাদি। এই সাইটগুলোতে লিখে আপনি বিকাশ, রকেট,নগদ বা ব্যাংক একাউন্টে পেমেন্ট নিতে পারবেন। আপনি লিখতে পারেন টেকনোলজি, লাইফস্টাইল ও সমসাময়িক বিষয়বস্তু নিয়ে হরেকরকম ব্লগ।

মোবাইল দিয়ে আয় করুন সাংবাদিক হয়ে

আপনার যদি একটি স্মার্টফোন থাকে এবং আপনি লেখালিখি কিংবা সাংবাদিকতায় আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আপনার আয়ের জন্য রয়েছে দারুণ সুযোগ। আপনার আশেপাশের খবর সংগ্রহ করে লিখে ফেলুন একটি সংবাদ আর স্মার্টফোন দিয়ে তুলে ফেলুন সংবাদ সংশ্লিষ্ট একটি ছবি।সেটা প্রকাশ করেই আয় করতে পারবেন দীর্ঘসময়। 
বাংলাদেশে অসংখ্য অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাংবাদিকতা করে আয় করা যায়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো 'আইনিউজ বিডি'। 
আপনার আইডিকার্ড কিংবা জন্মনিবন্ধনের ছবি দিয়ে প্রোফাইল তৈরি করে একটি একাউন্ট খুলে নিবেন৷ সাংবাদিকতা বিষয়কও প্রাথমিক কোর্সও পেয়ে যাবেন এখানে ফ্রীতে। আপনার লেখা নিউজটি পোস্ট করার পর সম্পাদক সম্পাদনা করে সেটা প্রকাশ করবে। অত:পর আপনার নিউজটি যতো মানুষ পড়বে সেই সিপিএম অনুসারে একটা এমাউন্ট আপনার একাউন্টে জমা হবে। মাত্র ৫০০ টাকা হলেই আপনি সেটা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এভাবে প্রতি মাসেই আয় করতে পারবেন হাজার হাজার টাকা।

মোবাইল দিয়ে আয় করুন টিউশন মিডিয়ায়

যুগ বদলে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষের আধুনিকায়নের সংজ্ঞাও বদলাচ্ছে দিন দিন। অনলাইন ভিত্তিক পড়াশোনা আর টিউশনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে মানুষ। সাম্প্রতিক কোভিড ১৯ পেন্ডামিকের কারণে পড়াশোনা ও শিক্ষা-কার্যক্রম পুরোটাই চলে এসেছে অনলাইনের আওতায়। 
এই অবস্থায় আপনিও শুরু করতে পারেন অনলাইন টিউশন। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি একটি স্মার্টফোন থাকে তবে ঘরে বসেই আপনি টিউশন কর‍তে পারেন। ফেসবুক বা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে 'অনলাইনে টিউশনি করাতে চাই' লিখে প্রচার করলে আপনি পেয়ে যেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত ছাত্র-ছাত্রী৷ মোবাইলে জুম অ্যাপ কিংবা গুগল মিট ব্যবহার করে আজকাল শিক্ষকরা অনলাইনেই টিউশনি করাচ্ছে এবং পেমেন্টও নিচ্ছে মোবাইলের মাধ্যমে তথা বিকাশ কিংবা রকেট নগদেই। তাছড়া আপনি নিজেই খুলে ফেলতে পারেন একটি টিউশন মিডিয়া। যেখানে আপনি পড়াতে ইচ্ছুক এবং পড়তে ইচ্ছুক মানুষদের মাঝে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করবেন। বিনিময়ে আপনার নির্দিষ্ট একটা চার্জ গ্রহণ করবেন এককালীন কিংবা মাসিক হারে। এতে করে পড়তে চাওয়া মানুষরাও একজন টিচার পাবে এবং একজন টিচারেরও আপনার মাধ্যমে কর্ম সংস্থা হবে।

মোবাইল দিয়ে আয় করুন কোর্স করিয়ে বা বিক্রি করে

আপনার যদি বিশেষ কোনো দক্ষতা থাকে আপনি সেটা শিখিয়ে এবং কোর্স করানোর মাধ্যমে মোবাইল দিয়েই আয় করতে পারেন। যেমনঃ আপনি ভালো ছবি আঁকতে পারেন, ভালো রান্নার রেসিপি জানেন, ভালো ডিজাইন করতে পারেন, ভালো প্রোগ্রামিং করতে জানেন এরকম আরো অসংখ্য দক্ষতার যেকোনো একটি আপনার রয়েছে। সেই বিষয়টি নিয়ে আপনি অনলাইন ভিত্তিক কোর্স করিয়ে আয় করতে পারেন ভালো একটা এমাউন্ট। (আপনি হয়তো বলবেন এসব কোর্স তো আজকাল অনলাইনে ইউটিউবে ফ্রীতেই পাওয়া যায়। হ্যাঁ তা ঠিক, কিন্তু সেসব ফ্রী ভিডিওতে সবকিছু ভালোভাবে বোঝানো বা শিখানো হয়না। আপনি আপনার কোর্সে আপনার বিষয়বস্তুর গোপন রহস্যটি শিখাতে পারেন, যা মানুষ লাখ টাকা দিয়েও হয়তো শিখতে পারেনা)
এভাবে অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ের উপর কোর্স করানো বাবদ একটা ফি আপনি বিকাশের মাধ্যমেই  পেমেন্ট নিয়ে নিতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে আয় করুন ফুড ডেলিভারি করে

আপনার কাছে কি স্মার্টফোন রয়েছে? তবে এটি ব্যবহার করেই আপনি করতে পারেন ফুড ডেলিভারির কাজ।  একটি স্মার্টফোন আর সাইকেল বা মোটর সাইকেল থাকলেই সেটা ব্যবহার করে আপনি ফুড ডেলিভারির কাজ করতে পারবেন৷ এভাবে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন অনায়াসেই। বাংলাদেশে অনেকগুলো ফুড ডেলিভারি সার্ভিস রয়েছে, যেমনঃ ফুডপান্ডা,  পাঠাও ফুড, সহজ ফুড, ই ফুড, টেকওয়ে ইত্যাদি।  আপনার স্মার্টফোন দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে শুরু করতে পারেন এই ফুড ডেলিভারির কাজটি৷ একটু পরিশ্রম করলেই মাসে আয় করতে পারবে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর সেটা সাপ্তাহিক কিংবা দৈনিক স্যালারি হিসেবে নিয়ে নিতে পারবেন বিকাশ কিংবা রকেটেই।

মোবাইল দিয়ে আয় করুন ব্যবসা করে 

আজকাল মানুষ ঘরে বসে অনলাইনে কেনাকাটা করতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। দিন দিন অনলাইন মার্কেটপ্লেসের দাপট যেমন বাড়ছে,  বাড়ছে সেই হারে কেনাবেচাও। মোবাইলে শুরু করতে পারেন আপনার অনলাইন ব্যবসা৷ কিছু টাকা ইনভেস্ট করে আপনি ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শুরু করতে পারেন আপনার অনলাইন বিজনেস। পণ্যের ছবি তুলে শেয়ার করুন আর কেনাবেচা করে ভালোই লাভবান হতে পারবেন। বিক্রির অগ্রীম টাকা পেমেন্ট নিতে পারবেন বিকাশে অথবা কন্ডিশন কুরিয়ার ব্যবহার করে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে। 

মোবাইল দিয়ে আয় করুন ওয়েবসাইট তৈরি করে

নিজের জন্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা বর্তমান আধুনিক এবং স্মার্ট ক্যারিয়ারের একটি অংশ হয়ে গেছে। অনেকে শঁখের বশে বা ব্যবসায়ীক স্বার্থে ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন। আর এই শঁখের ওয়েবসাইট যদি ইনকাম সোর্স হয়ে ওঠে,  তবে মন্দ কী?
অলস সময়টা ওয়েবসাইটের পেছনে কাজে লাগিয়ে আপনি মোবাইল দিয়েও এই ইনকামটা করতে পারবেন। এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে কেউ কেউ মাসে লাখ টাকারও বেশি আয় করছে প্রতিনিয়ত। এখন কী প্রশ্ন জাঁগছে কীভাবে আয় করবেন ওয়েবসাইট থেকে? ওয়েবসাইট থেকে আয় করারও হাজারটা উপায় আছে, তার মধ্যে সেরা কিছু উপায় বলে দিচ্ছি আপনাকে।

-গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন বসিয়ে আয়।
-চুক্তিভিত্তিক বিজ্ঞাপন বসিয়ে বা এডস্পেস সেল করে আয়।
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়।
- পেইড রিভিউ বা আর্টিকেল লিখে আয়।
- ইবুক বা অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয়।
- ইকমার্স ওয়েবসাইট করে আয়।
- ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয়।
- সেবা দিয়ে ডোনেশন থেকে আয়।

মোবাইল দিয়ে আয় করুন বুস্ট প্রমোট করে

ফেসবুকে পেইজ প্রমোট ও বুস্টিং বর্তমান সময়ে ব্যবসায়ীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। কারণ ৪৬ শতাংশ গ্রাহক আসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে, যেখানে ফেইসবুকেই আছে ৪২ শতাংশ। তাহলে বুঝতেই পারছেন ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করা কতটা সহজ হয়ে গেছে।

সহজ বললেই হয় না, বর্তমানে ফ্রীতে রিচ  হওয়ার সুযোগ নেই। যার ফলে যারা ফেইসবুকে ব্যবসা করেন তাদের প্রতিনিয়ত পেইজ বা পোস্ট প্রমোট ও বুস্ট করতে হয়।
আর পথটা কাজে লাগিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারেন আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়েই।
আপনার কাছে যদি কোনো একটি ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি যুক্ত কোনো ভিসা বা মাস্টারকার্ড থাকে তবে সেটা দিয়ে আপনি এই ইনকামটা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে ইবিএল এর একুয়া কার্ড এবং সিটি ব্যাংকের এমেক্স কার্ডটা সবচে বেশি জনপ্রিয়। বর্তমানে এই খাত থেকে ইনকাম করাটা সহজই বলা চলে।

মোবাইল দিয়ে আয় করুন এড ক্লিক করে

গুগলে সার্চ করলে অসংখ্য ওয়েবসাইট আসে যেখানে এড ক্লিক করে আয়ের পথ দেখানো হয়। তবে সব ওয়েবসাইট থেকেই আপনি আয় করতে পারবেন এর নিশ্চয়তা নেই।  প্রতারণার খপ্পরে পড়ার চান্সই বেশি৷ তবে আপনাকে সম্পুর্ণ বাংলাদেশী একটি সাইটের নির্দেশনা দিতে পারি যেখান থেকে এড ক্লিকের মাধ্যমে আয় করে সেই পেমেন্ট বিকাশ বা মোবাইল রিচার্জের মাধ্যমেই নিয়ে নিতে পারবেন।
Wap4dollar হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম। তাদের ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলে নিলেই আপনি এড কোড এবং এড লিংক দেখতে পাবেন। এড কোডটি আপনার ওয়েবাসাইটে বসিয়ে অথবা এডলিংকটি আপনার পরিচিতজনদের মাঝে শেয়ার করলে, এডটিতে বা লিংকটিতে কেউ যতোবার ক্লিক করবে ততোবারই একটা এমাউন্ট আপনার একাউন্টে জমা হবে। এছাড়া এখান থেকে রেফারেল করেও আপনি আয় করতে পারবেন। আর সবচেয়ে ভালো দিক হলো আপনি মাত্র ৫০ টাকা হলেই সেটা বিকাশ বা মোবাইল রিচার্জের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে আয় করুন কুইজ খেলে

বর্তমানে অনলাইনে আয় এর সেরা এবং অন্যতম একটি মাধ্যম কুইজ বক্স অ্যাপ। এখানে আপনি কুইজ খেলে আয় করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার আয় করা অর্থ খুব সহজেই বিকাশ, ফ্লেক্সিলোড এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। অ্যাপটি আপনি পেয়ে যাবেন গুগল প্লে স্টোরে অথবা গুগলে সার্চ করেও খুঁজে নিতে পারবেন।
অ্যাপটি ইন্সটল করলেই বাকিটা দেখলেই বুঝে যাবেন আসলে টাকা ইনকাম করা সহজ কিনা।
আপনার মুল্যবান সময়টা খরচ করে কিছু আয় করা গেলে মন্দ কী?
তাহলে আপনিই ভেবে দেখুন, আপনি কোন আইডিয়া কাজে লাগিয়ে আয় করবেন।

Cookie Consent
We serve cookies on this site to optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.